পর্দা উঠতে যাচ্ছে দুদিনব্যাপী সম্মেলনের
রাত পোহালেই সম্মেলন। ইতোমধ্যে সম্মেলনের সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন। শনিবার সকালেই পর্দা উঠবে সম্মেলনের। দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ সম্মেলনকে ঘিরে আনন্দের বন্যা বইছে আওয়ামী নেতাকর্মীদের মাঝে।
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে আগত অতিথির জন্য প্যান্ডেলের ভেতরে ও বাইরে মিলিয়ে ৪০ হাজার আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিথিদের জন্য ১০০ ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, ২০টি টি-স্টলের ব্যবস্থা থাকছে। প্যান্ডেল ও এর আশপাশে সুশৃঙ্খলভাবে সম্মেলন উপভোগের জন্য ১৬টি বড় পর্দার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও মঞ্চে থাকছে বিরাট থ্রি-জি পর্দা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশুপার্ক সংলগ্ন প্রবেশপথ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন প্রবেশপথ দিয়ে কূটনীতিক ও বিদেশি মেহমানরা প্রবেশ করবেন।
এছাড়া রমনা কালীমন্দির, রাজু ভাস্কর্য ও চারুকলা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন প্রবেশপথ দিয়ে সাধারণ ডেলিগেট, আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ও সাংবাদিকরা ঢুকবেন। এ সময় সঙ্গে মোবাইল ফোনসহ কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক এ সম্মেলনে ১১টি দেশের প্রায় অর্ধশত বিদেশি অতিথি অংশ নেবেন। বিদেশি অতিথিরা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ আসতে শুরু করেছেন। সম্মেলন অংশ নিতে সারাদেশ থেকে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরাও ঢাকায় আসছেন।
এদিকে, সম্মেলন উপলক্ষে দলীয় ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো রাজধানী। প্রধান প্রধান সড়ক এবং পয়েন্টগুলোতে শোভা পাচ্ছে আলোক সজ্জা। সম্মেলনের থিমে সেজেছে গোটা দেশও। সাজ সাজ রব উঠেছে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। তবে সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। এসএসএফ-এর নির্দেশনায় প্রায় দশ হাজার সোয়াদ ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ